আজ স্বৈরাচার পতন দিবস। ১৯৯০ এর এই দিনে প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গণতন্ত্রের ধারা ফিরিয়ে আনতে স্বৈরশাসনের এক বছরের মাথায় এরশাদবিরোধী আন্দোলন শুরু করে ছাত্র ও যুব সমাজ।
ঢাকা পলিটেকনিকের ছাত্র মনিরুজ্জামান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন গড়ে তোলে ছাত্রসমাজ। আত্মাহুতি দেন সেলিম, দেলোয়ার, ফাত্তাহ, ডাঃ মিলন সহ আরো অনেকে।
দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরশাসকের পতন দিবসে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দিয়েছেন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আরিফ জেবতিক। তিনি লিখেছেন, দেশে যখন সার্টিফায়েড স্বৈরাচার ছিল, তখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হতো। দেশে যখন গণতন্ত্র শুরু হলো, তারপর থেকে সব ছাত্রসংসদ নির্বাচন বন্ধ। ২৫ বছর কেটে গেছে। এই হইলো এরশাদকে হঠিয়ে পাওয়া ছাত্র সমাজের অর্জন!
আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন এরশাদই হচ্ছেন বিশ্বের একমাত্র নেতা, যিনি নির্বাচন করতে না চাইলেও উনাকে হাসপাতালে ভর্তি করে জোর করে নির্বাচিত করেছে ‘বাংলার জনগন।’ এরকম জনপ্রিয়তা আর কেউ কোনো কালে দেখেনি। জনপ্রিয়তার এই কিংবদন্তী ইতিহাসকে ‘স্বৈরাচার পতন’ দিবসের শুভেচ্ছা।