ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় নয়, উগ্রবাদী স্বামীদের চাপের মুখে জঙ্গি হচ্ছে নারীরা।
রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনায় জঙ্গি আস্তানা থেকে আত্মসমর্পণ করা মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুনেচ্ছা শীলা, জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণার রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে জানিয়ে মঙ্গলবার এ বিষয়ে কথা বলে তিনি।
পুলিশের বিশেষ দুই ইউনিট সিটিটিসি ও সোয়াতের বিশেষ অভিযান রিপল টুয়েন্টি ফোরে দুই সন্তানসহ আত্মসমর্পণ করে উগ্রবাদী দুই জঙ্গির স্ত্রী। গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের রিমান্ডে এনে মিন্টো রোডের সিটিটিসি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।
নতুন রূপে গড়ে ওঠা জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
অপারেশন রিপল টুয়েন্টি ফোরে শরীরে গ্রেনেড বেঁধে আত্মহত্যা করে এক নারী জঙ্গি। তার ব্যাপারেও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা মূসাকে গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতার করা গেলে জঙ্গি নেটওয়ার্কের অনেক কিছুই গোয়েন্দাদের কাছে পরিস্কার হবে জানিয়েছেন সিটিটিসি প্রধান।
গত শনিবার ভোরে সিটিটিসি ও সোয়াট সদস্যরা অভিযান চালায়। ওই সময় ভবনের ভেতরে থাকা একজন নারী জঙ্গি তার কোমরে থাকা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটালে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সাবিনা (৪) নামে এক শিশু আহত হয়। নিজের পিস্তলের গুলিতে নিহত হয় আরেক যুবক।
পুলিশের দাবি, নিহত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন পলাতক জঙ্গি সুমনের স্ত্রী তিশা। আরেকজন অাজিমপুরের নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর ছেলে।
এরমধ্যে জঙ্গি তিশা নিজের গায়ে বেঁধে রাখা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করে। আর তানভীর কাদেরীর ছেলে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেকে গুলি করে।
সেখারে অভিযানের এক পর্যায়ে জঙ্গি আস্তানা থেকে নিহত জঙ্গি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুনেচ্ছা শীলা, জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তাদের দুই সন্তান বের হয়ে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
https://www.youtube.com/watch?v=Qx2GjWsjq04