স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের কাজ এগোয়নি। স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতায় আনতে ন্যাশনাল হেলথ প্রটেকশন অথরিটি প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও হয়নি সেটাও।
দেশে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয় জিডিপি’র শূন্য দশমিক আট শতাংশ, মাথাপিছু হিসেবে ১০ ডলারেরও কম। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোও স্বাস্থ্য খাতের খরচে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে গড়ে জাতীয় বাজেটের এক দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ৬৩ শতাংশ খরচই হয় ব্যক্তি খাতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের খরচে দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হচ্ছে। এ কারণে ২০১২ সালে হেলথ কেয়ার ফাইনান্সিং স্ট্র্যাটেজির আওতায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি গ্রহণ করে সরকার।
ওই কৌশলপত্রে হতদরিদ্র, সরকারী চাকরিজীবীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইনস্যুরেন্সের মাধ্যমে এবং পর্যায়ক্রমে দেশের সকল মানুষদের স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনার পরিকল্পনা ছিলো।
দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেবার আওতায় আনতে পরীক্ষামুলক ভাবে ‘এসএসকে-বা স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম’ শুরু করেছে সরকার। ২০১৯ সালে ওই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, জনকল্যাণ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন টেকসই করতে স্বাস্থ্যের উন্নতি প্রয়োজন। সরকারও ২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি বাস্তবায়নে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিস্তারিত দেখুন জান্নাতুল বাকেয়া কেকার ভিডিও রিপোর্টে-