করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসা দুর্নীতির মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কামাল আজাদকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণের পর তিনি জামিন আবেদন করেন।
শুনানির সময় অধ্যাপক আজাদ তার শারীরিক জটিলতার বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরলে আদালত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন দেন। ওইদিনই পরবর্তী শুনানির দিনও ঠিক করেছেন আদালত।
রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের সাথে চুক্তির আগে পরিচয়ের বিষয়টি তিনি বারবারই অস্বীকার করেছেন।
করোনাভাইরাস এর চিকিৎসায় অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ দুদকের জিজ্ঞাসাসাবাদের মুখে পড়েন।
২০২০ সালের ২৩ বছরের সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী একটি মামলা দায়ের করেন। হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা করা হয়।
সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের তুমুল সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ। এরপর ২৩ জুলাই তার স্থলাভিষিক্ত হন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এ মামলার ৬ আসামির মধ্যে বর্তমানে ৫ জন জামিনে রয়েছেন এবং আটক আছেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদ।