চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই

মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার থেকে দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শুক্রবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়: ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে এই নির্দেশনা জারি করা হলো, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার/সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ যা এখন পর্যন্ত ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে। এই লকডাউনে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিলো। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার জনসমাগম এড়াতে প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সে সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু ছিল। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের অফিস ও পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। শুধু উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সতর্কতার অংশ হিসেবে সীমিত জনবল দিয়ে বিভিন্ন শাখা চালু রেখেছে ব্যাংকগুলো। তবে শেষ দফায় লকডাউন ঘোষণার আগে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনায় ও ঈদ সামনে রেখে তা শিথিল করার কথা জানিয়েছিলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে দোকানপাট খোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

গত চারদিন করোনায় মৃত্যুর হার কম হলেও এখন এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা যায়নি। আমাদের মত দেশে সর্বাত্মক লকডাউন যে কতটা কার্যকর তা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। কারণ এই দেশের অধিকাংশ মানুষ নিম্ন আয়ের প্রাত্যহিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর হাতে কর্মসংস্থান না থাকলে তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে।

সুতরাং আমরা মনে করি সরকার সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার কথা চিন্তা করে লকডাউনে ধীরে ধীরে সব শিথিল করে দিলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। মানুষকে সচেতন করাই হবে এখন মূল কাজ। এটাতে ব্যর্থ হলে লকডাউন বা শিথিল লকডাউন কোনো কিছুই এই মহামারি থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারবে না।