গাজীপুরে ‘স্বামীর দেওয়া আগুনে’ গুরুতর দগ্ধ মর্জিনা ১১ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ি থানা পুলিশ।
নিহত মর্জিনা (৪০) টাঙ্গাইল দেলদুয়ার থানা ইয়াসিন গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।
তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের জয়নগর এলাকার মৃত হরফ আলীর ছেলে স্বাধীন আলীর (৫০) স্ত্রী।
নিহত মর্জিনার ছেলে মনিরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক মাস যাবৎ বাবার সাথে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়ে আসছিল। গত মাসে বাবা-মা দুজনই ঝগড়াঝাঁটি একপর্যায়ে আমাদের আত্মীয় স্বজনরা এসে বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে যেন আর কথা কাটাকাটি না হয় মামা বাড়ির লোকজন এসে সমাধান করে দেয়।
গত মাসের শেষের দিকে বাবা মায়ের প্রতি বেশি রেগে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনকে জানালেও তেমন কোন সুরাহা হয়নি। চলতি মাসের ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে মায়ের শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয় বাবা। প্রথমে গাজীপুর সদর হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। গতকাল বুধবার মা মারা যায়। এনিয়ে আমি নিজেই বাবার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছি।
জিএমপি কোনাবাড়ী থানার পরিদর্শক তদন্ত মালেক খসরু জানায়, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ির সেলিম নগর এলাকার মমতাজের বাড়ির ভাড়া বাসায় স্বপরিবারে থাকেন স্বাধীন। দাম্পত্য কলহের জেরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মর্জিনার পরনের কাপড়ে অগ্নিসংযোগ করে স্বামী স্বাধীন। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার রাতে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ঘাতক স্বাধীন আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।