আফগানিস্তানে তালেবান বিরোধী বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জায়গায় এই বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিক্ষোভকারীরা আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তালেবান যোদ্ধাদের সামনেই কয়েকটি জায়গায় মিছিল করে এবং প্রতিবাদী স্লোগান দেয়।
বিবিসি জানায়, জালালাবাদসহ পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে জাতীয় পতাকা নিয়ে বুধবার তালেবান বিরোধী বিক্ষোভে অন্তত দুজন নিহত হলেও পরদিনই বৃহস্পতিবার রাজধানী কাবুলেও একই ধরনের মিছিল হয়েছে।
আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৯ আগস্ট। এই উপলক্ষে জাতীয় পতাকা নিয়ে কাবুলের মিছিলে গুলি না চালালেও দ্রুত তা ছত্রভঙ্গ করে দেয় তালেবান যোদ্ধারা।
তবে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আসাদাবাদে স্বাধীনতা দিবসের এক জমায়েতে লোকজন জাতীয় পতাকা ওড়ালে তালেবান গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টর্স।
জাতীয় পতাকা সরিয়ে সেখানে তালেবানের সাদা-কালো পতাকা উঠিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় এই বিক্ষোভের মাত্রা তেমন কিছু না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু আফগান সোচ্চার হয়েছেন।
এদিকে কাবুল থেকে পালিয়ে যাওয়া আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ তার গোপন আস্তানা এক বার্তা দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, দেশের সংবিধান অনুযায়ী তিনিই এখন আফগানিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট এবং তিনি তালেবানের সরকার মানবেন না।
তালেবানের বিরুদ্ধে জোট তৈরি করে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুমকি দিয়েছেন সালেহ। তার দাবি, তার সাথে রয়েছেন প্রয়াত তালেবান বিরোধী কিংবদন্তী তাজিক নেতা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ এবং সাবেক আফগান সেনা প্রধান ইয়াসিন জিয়া।
টুইটারে এক পোস্টে আমরুল্লাহ সালেহ জাতীয় পতাকা নিয়ে এসব মিছিলের প্রতি তার সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, ‘যারা জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষায় প্রতিবাদ করছে তাদের প্রতি স্যালুট।
ধারণা করা হচ্ছে, সালেহ এবং তার সহযোগীরা প্রয়াত আহমেদ শাহ মাসুদের দুর্গ হিসাবে পরিচিতি উত্তরের পাঞ্জশির উপত্যকায় রয়েছেন। কাবুলের উত্তরে জাতিগত তাজিক অধ্যুষিত দুর্গম এই জায়গাটি ১৯৮০র দশকে সোভিয়েত বিরোধী এবং পরে ৯০ এর দেশকে তালেবান বিরোধী প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এখনও অঞ্চলটি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে নেই।