১৯৭১ এর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রদানের এই ঐতিহাসিক জায়গা জুড়েই বর্তমানের স্বাধীনতা জাদুঘর।
জাদুঘরের দেয়ালে খোদাই করে রাখা আছে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ থেকে শুরু করে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬’র ৬ দফা, ৭০’র নির্বাচন এবং ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস।
এটিই বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ভূগর্ভস্থ জাদুঘর। জাদুঘরের ভেতরে দু’টি গ্যালারিতে মুক্তিযুদ্ধের অমূল্য সব দলিল সংরক্ষিত রয়েছে।
জাদুঘরটিতে ১৪৪টি কাচের প্যানেলে ৩শ’রও বেশি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র রয়েছে। জাদুঘরের দু’পাশের দেয়ালে ২৫ মার্চ কাল রাতের ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে দুর্লভ সব আলোকচিত্রে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে যে টেবিলে বসে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্ব জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণের পর সই করেছিলেন, তার একটি অনুলিপিও রয়েছে এই জাদুঘরে।
মূল টেবিলটি রাখা আছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।
স্বাধীনতা জাদুঘরের ঠিক মাঝখানে আছে একটি ঝর্ণা, যার পানি কান্না হয়ে ঝড়ছে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের বেদনায়।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: