ঘরোয়া ফুটবলে আরেকটি শিরোপা নির্ধারণীর মঞ্চ প্রস্তুত। প্রস্তুত দুই কুশীলব শেখ রাসেল ও বসুন্ধরা কিংস। স্বাধীনতা কাপ-২০১৮ এর ফাইনালে শেষ হাসি কার, সেটি জানতে অপেক্ষা কেবল আরেকটি রাতের!
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মহারণ, মঞ্চস্থ হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। যেখানে ফেডারেশন কাপের রানার্সআপ বসুন্ধরা নিজেদের প্রথম শিরোপা জিততে মরিয়া, আর শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র চায় পাঁচ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে।
স্বাধীনতা কাপে এবার উড়ন্ত শুরু পায়নি শেখ রাসেল। সাইফুল বারী টিটুর দল গ্রুপপর্ব পার হয় দুই ড্রয়ে ভর করে। কোয়ার্টার ফাইনালে এসে নিজেদের খুঁজে পায় দলটি। গত আসরের রানার্সআপ চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারায় তারা। বন্দরনগরীর দলটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছায়।
সেরা চারেও আত্মবিশ্বাস আর মাঠের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে শেখ রাসেল। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে।
ঘরোয়া ফুটবলে দারুণ দল গুছিয়ে চমক দেখিয়ে চলা বসুন্ধরা কিংস সেখানে এক জয় আর এক ড্রয়ে গ্রুপপর্ব টপকায়। কোয়ার্টার ফাইনালে রহমতগঞ্জ সোসাইটিকে হারাতে অবশ্য বেগ পেতে হয়েছিল তাদের। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শ্যুটআউট ভাগ্যে জয় হাতছাড়া করেনি দলটি।
পরে সেমিফাইনালেও টাইব্রেকারে পরীক্ষা দিতে হয় কিংসদের। এবারও বাজিমাত। শিরোপার আরেক দাবিদার ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে আসার টিকিট কাটে কোচ ব্রুসনের বসুন্ধরা।
আত্মবিশ্বাসে টগবগে দুদল। মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাসে অবশ্য এগিয়ে বসুন্ধরা। এপর্যন্ত তিন দেখায় বসুন্ধরা জিতেছে দুটি ম্যাচে, সঙ্গে এক ড্র। তবে ফাইনালের মঞ্চে উল্টে যেতে পারে হিসাব! দুদলের কোচ-খেলোয়াড়দের কথা ও আত্মবিশ্বাসের পারদে তুঙ্গে থাকার ইঙ্গিত, সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া উভয়ই। এখন দেখার, শেষ হাসিতে মাতে কারা।