বিশ্বকাপের অতীত রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেমিফাইনালের মঞ্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারলেই ইয়াং টাইগাররা পা রাখবে স্বপ্নের ফাইনালে। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেমিফাইনাল শুরু হবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায়।
ফিল্ডিং নিয়ে কিছুটা সমালোচনা থাকলেও ব্যাটিং-বোলিংয়ে তার জবাব দিয়েছেন পিনাক, সাইফ, শাওন আর সাইফুদ্দিনরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের বিপক্ষে কোচ এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিকেই। আর ক্যারিবীয় যুবাদের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামাতে স্পিনাররা আছেনই।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল বলেন, প্রতিপক্ষের শক্তি এবং উইকেট দেখেই আমরা খেলার চেষ্টা করি। বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আমরা তিনটি ওয়ানডে খেলেছি। তাদের পেস অ্যাটাক শক্তিশালী। আমাদের ছেলেরা ভালো করেই চেনে তাদের। ওদের বোলিং সম্পর্কেও আমাদের ব্যাটসম্যানদের ভালো ধারণা আছে।
কোচ আরো যোগ করেন, আমরা কালকের ম্যাচকে শুধুমাত্র একটা ম্যাচ হিসেবেই চিন্তা করছি। সেমিফাইনাল হিসেবে ভাবছি না। সেমিফাইনাল বলে জিততেই হবে; এভাবে ভেবে কোনও চাপ নিতে চাচ্ছি না। চেষ্টা থাকবে নিজেদের পরিকল্পনা ঠিকঠাক প্রয়োগ করার।’
পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত মেহদি মিরাজের দল। প্রত্যাশার চাপ থাকবে বেশী সেটাই স্বাভাবিক, তবে অধিনায়কের কন্ঠে পেশাদারিত্বেও সুর।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মেহদি হাসান মিরাজ বলেন, আমাদের কাছে গতির বলই খেলতে ভালো লাগে। কম গতির বল খেললে মিস টাইমিংয়ের আশঙ্কা থাকে। বেশি গতির বোলারদের খেলতে আমরা সব সময়ই আত্মবিশ্বাসী থাকি। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলে এসেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলেছি। আমরা গত চারটা ম্যাচে খেলেছি, প্রতিপক্ষের ওই রকম গতির কোনো বোলার ছিল না। এই জন্য আমাদের ওপেনারদের সমস্যা হয়েছে আশা করি কাল সবাই ভালো খেলবে।’
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলেও মূল আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশকে হুমকি দিয়ে রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তীরে এসে তরী ডোবাতে চায় না তারা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে মরণ কামড় বসাতে সব-রকম চেষ্টাই থাকবে ক্যারিবীয়দের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ শিমরণ হেটমায়ার বলেন, আমরা মাঠে নিজেদের সেরাটাই দিব। আমাদের পেস দুরন্ত অ্যাটাক রয়েছে। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে সবাই মুখিয়ে রয়েছে।
জয়ী দল ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলা বসন্তের প্রথম দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি।