স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রার্থিতার শর্ত সহজ করে মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রথম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
বিধিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের সইয়ের বাধ্যবাধকতা থাকছে না। আইনি বাধ্যবাধ্কতা থাকায় মার্চের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই মেয়াদউত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
মধ্য ফেব্রুয়ারিতে তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনী আচরণবিধি চূড়ান্ত করে ভেটিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এবারই প্রথম পৌরসভার মতো সব থেকে তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। সেই আলোকেই হচ্ছে আচরণবিধি।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে একটা নিয়ম ছিলো; কয়েকজনের স্বাক্ষর লাগতো। কিন্ত বর্তমানে ইউনিয়ান পরিষদের জন্য কোনো সইয়ের ব্যবস্থা রাখা হয় নাই।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যিনি থাকবেন তিনিও প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে তিনি সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
আচরণবিধি পালনে প্রার্থীদের কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসি।
মো: শাহনেওয়াজ আরো বলেন, প্রতীক যখন বরাদ্দ হবে তখনই প্রতীক নিয়ে নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। নির্বাচনের সময় সবকিছু বিবেচনা করে ঘোষণা করা হবে।
সারাদেশের প্রায় প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রার্থী, ভোটার এবং সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।