২০০৪ সালে পোর্তোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়ে চমকে দিয়েছিলেন হোসে মরিনহো। পরের মৌসুমেই তাকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নিয়ে আসেন চেলসির ধনকুবের মালিক রোমান আব্রাহমোভিচ। চেলসিতে পা দিয়ে আরও একবার চমকে দেন পর্তুগিজ কোচ, নিজেকে নিজেই দিয়ে বসেন ‘স্পেশাল ওয়ান’ উপাধি! পরে ঠাট্টা কিংবা প্রশংসা, সবক্ষেত্রেই মরিনহোর মানদণ্ডে পরিণত হয় নিজেকে নিজে দেয়া সেই উপাধি।
দিনকে দিন অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হয়েছে মরিনহোর কোচিং ক্যারিয়ার। ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসিতে দ্বিতীয়বার, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঘুরে এখন টটেনহ্যাম হটস্পারে আছেন। বড় ক্লাবগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে উপাধি পাল্টে নিজেকে ‘এক্সপেরিয়েন্স ওয়ান’ বা অভিজ্ঞ একজন বলে দাবি করেছেন এবার।
ইএসপিএনের চায়নিজ অংশীদার টেনসেন্ট স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মরিনহোকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল নিজেকে এখন কী নামে ডাকতে চান? সেখানেই নিজেকে নতুন উপাধি দিয়েছেন মরিনহো, ‘এখন আমি অনেক অভিজ্ঞ, এক্সপেরিয়েন্স ওয়ান। আসলে বলতে গেলে আমার সঙ্গে এখন যা হচ্ছে, তার সঙ্গে আমার পূর্বেই পরিচয় হয়েছে।’
‘কোচিং এমন চাকরি যেখানে আপনাকে ফুটবলারদের মতো ফিটনেস থাকতে হবে। একজন ২০-৩০ বছর বয়সী ফুটবলারের যে দম থাকবে, সেটা ৪০ বছর বয়সী কারও থাকবে না। যদি না আপনি জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ হন।’
‘কোচিং করাতে হলে আপনার মস্তিষ্কে জোর থাকতে হবে, অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পরিপূর্ণ হতে হবে। আর থাকতে হবে প্রচুর জ্ঞান। যা আপনাকে আরও ভালো করতে সাহায্য করবে।’