প্রশাসনিক জটিলতা, ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও আমদানি-রপ্তানিতে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর। সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে সরকারের রাজস্ব আয় ।
পণ্যবাহী ট্রাক আর মানুষের পদচারণায় কর্মচঞ্চল দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দর এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। কাজ-না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছে কুলি-শ্রমিকরা ।
নিজেদের বেকারত্ব নিয়ে চিন্তিত শ্রমিকরা জানান সকাল থেকে বসে থেকেও কোনো কাজ জোটেনি। এভাবে চললে চরম সংকটে পড়তে হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
আমদানি-রপ্তানিতে নানা প্রতিবন্ধকতা, প্রশাসনিক জটিলতা ও ব্যবসায়ীদের হয়রানির কারণে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন অনেকে । কেউ কেউ অন্য বন্দর দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা-বানিজ্য। আমদানী বন্ধ থাকায় এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন আমদানীকারকরা।
হিলি স্থল বন্দর সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রেজা শাহীন বলেন, আমদানিকারকরা প্রশাসন, শুল্ক, বিজিবিসহ নানা পক্ষের হয়রানিতে আমদানিকারকরা বন্দরটি এড়িয়ে চলছেন।
করের আওতামুক্ত পণ্য নিয়ে এ বন্দরে প্রতিদিন গড়ে দেড়’শ থেকে দু’শ পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করলেও আগের মতো আমদানি হচ্ছেনা তালিকাভুক্ত পণ্য সামগ্রী।
হিলি বন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ বলেন, বেনাপোলে যে পণ্যটির জন্য ২০ টাকা শুল্ক দিতে হয় সেখানে হিলিতে দিতে ৩০ টাকা। একই দেশে দুই নিয়মে ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
চলতি ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে এক’শ ৫৬ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আদায় হয়েছে মাত্র ২৯ কোটি টাকা।
হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সাইফুর রহমান জানান, বন্দরের অবকাঠামোর জন্য এবং আমদানিকারীরা অন্য বন্দরে সরে যাচ্ছে। দিনের পর দিন এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্দরের কুলি-শ্রমিকরা।