জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর ওরফে পাপিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে চেম্বার আদালতের দেয়া আদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ চেম্বার আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের রুল শুনানি পর্যন্ত বহাল রেখে আদেশ দেন।
আদালতে পাপিয়ার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, শাহ মনজুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পাপিয়ার জামিন স্থগিত করেন। সেই সাথে এইদিন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। সে অনুযায়ী আজ শুনানি শেষে আপিল বিভাগ চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন।
এর আগে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার পাপিয়াকে রুলসহ ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমনকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে র্যাব। সহযোগীসহ পাপিয়া ও তার স্বামী বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছিলেন। তখন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের জন্য অপেক্ষারত একটি উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে এনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ৪ আগস্ট দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলা তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৩০ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযোগপত্রে। দুদকের করা ওই মামলায় পাপিয়া ও মফিজুরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩–এর বিচারক।