অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ খেলতে পারেননি বেন স্টোকস। তার অনুপস্থিতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে বাজেভাবে সিরিজ হারে ইংল্যান্ড। মারামারিতে জড়িয়ে নিজের দোষে অ্যাশেজ খেলতে না পারায় দলের কাছে স্টোকস ‘ঋণী’ বলে মন্তব্য করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ।
অ্যাশেজের পর ওয়ানডে সিরিজেও খেলতে পারেননি স্টোকস। তার মাঠে নামা হয়নি ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজেও। অজিদের বিপক্ষে ওয়ানডে জিতলেও টি-টুয়েন্টি সিরিজে মাত্র একটি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখে ইংল্যান্ড।
অবশেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে ফিরেছেন স্টোকস। কিন্তু প্রথম ম্যাচে দলের জন্য কিছুই করতে পারেননি। দলও হেরেছে কিউইদের। তবে স্টিভ ওয়াহ’র কথা অনুযায়ী দ্বিতীয় ম্যাচেই নিজের ‘ঋণ শোধ’ করলেন ইংলিশ ‘ব্যাড বয়’। আর তাতেই সিরিজে সমতায় ফিরল তার দল। স্টোকসের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ফলে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতা বিরাজ করছে।
বল হাতে সফলতার পর ব্যাটে পুরনো চেহারায় পাওয়া গেল স্টোকসকে। ৭৪ বলে সাতটি চার ও এক ছক্কায় ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। পরে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তারই হাতে।
ইয়ন মরগানের সঙ্গে স্টোকসের ৮৮ রানের জুটিই ম্যাচের ভিত গড়ে ইংল্যান্ডের। মরগান আউট হন ৬২ রান করে। ৩৭ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। আর ২০ বলে ৩৬ রানের ঝড় তুলে স্টোকসের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন জস বাটলার। চার ব্যাটসম্যানের দাপটে মাত্র ৩৭.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় সফরকারীরা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই বল বাকি থাকতে ২২৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ইংলিশদের বোলিং তোপে একসময় ৮২ রানেই ৫ উইকেট হারায় কিউইরা। সেখান থেকে দলকে ২০০’র বেশি স্কোর এনে দেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল (৫০), কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমে (৩৮) ও স্পিন অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার (৬৩*) । বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই বলার মত স্কোর করতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস ওকস, মঈন আলী ও স্টোকস দুটি করে উইকেট নেন। বলের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন স্টোকস। দুটি রানআউট করেন তিনি।