ভারত ও ফিজিকে পেছনে ফেলে স্কুল ব্যাংকিংয়ের জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ। হল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা চাইল্ড অ্যান্ড ইয়ুথ ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টাকে এই সম্মান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাজ্যে হাউজ অব লর্ডসে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন হাউজ অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস ভ্যালোরি জর্জিয়া হাওয়ার্থ।
আর্থিক অর্ন্তভুক্তির অংশ হিসেবে নানা কার্যক্রম রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। পথশিশু, ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব, বর্গা চাষীদের জন্য ঋণ, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য ঋণসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকিং সম্পর্কে সচেতন করে শিশু কিশোরদের সঞ্চয়ী করে তোলার উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং শুরুর উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এরই মধ্যে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী ব্যাংক হিসাব খুলেছে, জমা হয়েছে ৭’শ কোটি টাকা। এবার স্বীকৃতিও মিলেছে। বিশ্বজুড়ে ১’শ ২৫ দেশের সাড়ে ৩ কোটি শিশু-কিশোরদের নেটওয়ার্ক চাইল্ড অ্যান্ড ইয়ুথ ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কৃত করেছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডক্টর আতিউর রহমান জানান, এই পুরষ্কারটি বাংলাদেশের হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহণ করছে। এই পুরষ্কার আমরা পেয়েছি স্কুল ব্যাংকিংয়ের কারণে, মানে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা তারা ডিপোজিট করছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি ডিপোজিট।
গভর্নর জানান, সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে চান তারা। আর এই কাজে সহযোগী হয়েছে বেসরকারী খাতের তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
শিওরক্যাশের সিইও ডক্টর শাহাদত হোসেন বলেন, স্কুল বা কলেজকে বড় বড় ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস দেওয়া হয়। আগে একটি লেজার বই ব্যবহার হতো, সেখানে লিখে লিখে দেখা হতো কে পেমেন্ট করছে আর কে করছে না। এখন আমরা বলছি সেটার দরকার নেই। সব হবে কম্পিউটার সার্ভারে। এতে কম্পিউটারের দরকার নেই। ফোনেই দেখা যাবে কত টাকা কালেকশন হলো।
স্কুল ব্যাংকিংয়ের জন্য গত বছর চাইল্ড অ্যান্ড ইয়ুথ ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল সিওয়াইএফআই এর কান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলো সিঙ্গাপুর।