ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সাখুয়া বাজার এলাকার শফিকুল ইসলাম কাজল (২৭) নামে স্থানীয় এক বখাটের বিরুদ্ধে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী। বখাটে কাজল মাঝেরচর গ্রামের আব্দুর রহমান মাষ্টারের ছেলে এবং তারুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার ছোট ভাই। সে বিবাহিত।
শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল ১০টায়।
নিপীড়নের শিকার মেয়ে এবং তার অভিভাবকরা জানিয়েছেন, সাখুয়া বাজার থেকে খাতা-কলম ও ছাতা কিনে মেয়েটি হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার পাশে অপেক্ষায় থাকা কাজল তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। মেয়েটি পরে দৌড়ে তার স্কুল শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, মেয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় মুরুব্বীদের জানান। শিক্ষকসহ এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মিয়েটিকে তার অফিসে ডেকে পাঠান। ইউএনও রাজীব কুমার সরকার সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলে সন্ধ্যায় মামলা দায়ের হয়।
এলাকাবাসী বলছে, বখাটে কাজল এর আগেও নারী সংক্রান্ত এরকম অঘটন ঘটিয়েছে। এর কোনটায় গণপিটুনি খেয়ে সে এলাকা ছাড়া থেকেছে অনেকদিন। আবার কোনটায় স্থানীয় সালিশ দরবারের মাধ্যমে তার শাস্তি হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রমজান মাসের ছুটি থাকলেও কয়েকশো শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বুধবার বিক্ষোভ দেখায়। তারা কাজলের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে মিছিল শেষে ভারতীবাজার সংলগ্ন উচাখিলা-মধুপুর রোডে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সালাহউদ্দিন মাহমুদসহ অন্য শিক্ষক এবং এলাকার তরুণরাও যোগ দেন। তারা বখাটে কাজলের বিচার দাবি করেন।
থানার সেকেন্ড অফিসার গোলাম মওলা জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে, আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।