অ্যানজিওপ্লাস্টির পর ভালো আছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। শনিবার বিসিসিআই সভাপতির হৃদযন্ত্রের ধমনীতে একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও দুটো স্টেন্ট বসানো হবে। তবে বাইপাস সার্জারির প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পুরোপুরি বিশ্রাম নিলে একমাসের মধ্য সুস্থ হয়ে উঠবেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক, এমন দাবি চিকিৎসকদের।
রোববার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরের রাতটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার রাতে ভালো ঘুম হয়েছে সৌরভের। সকালে ঘুম থেকে উঠে গল্পও করেছেন। যে ধমনীতে বেশি ব্লকেজ ছিল তা এখন পুরোপুরি মুক্ত।
সৌরভের ব্যক্তিগত চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু জানিয়েছেন, চিকিৎসায় ভালোভাবেই সাড়া দিচ্ছেন সৌরভ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট গল্প করছেন। কাগজ পড়েছেন। বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম যেমন আশা করেছিল, সেভাবেই শারীরিক উন্নতি হচ্ছে। তবে সৌরভের বাকি যে দুটি ধমনীতে ব্লকেজ আছে, তাতে বাইপাস সার্জারি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিকিৎসকরা। তাতে স্টেন্ট বসানো হবে। সে বিষয়ে সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
রোববার সকালে হাসপাতালে সৌরভের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা এবং শিলিগুড়ির জেলা প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য। বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ‘ডাক্তারের পরামর্শে থাকতে হবে সৌরভকে। এখনই সুস্থ হয়ে গিয়েছে ভাবলে চলবে না।’
দক্ষিণ কলকাতার যে হাসপাতালে সৌরভ ভর্তি রয়েছেন, তাদের পক্ষ জানানো হয়েছে একমাসের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন সৌরভ। রোববার সকাল পর্যন্ত গায়ে জ্বর নেই তার। রক্তচাপ এবং নাড়ির গতি স্বাভাবিক। অক্সিজেন সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়েছে। আপাতত শ্বাসকষ্টের সমস্যা নেই। সকালের ইসিজি রিপোর্টও স্বাভাবিক। আগামী দু’দিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে।
শনিবার সকালে জিম করার সময় বুকে এবং পিঠে ব্যথা অনুভব করেন সৌরভ। দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী তিনটি ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ রয়েছে সৌরভের।