ইনিংসের দশম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দিলেন ১২ রান। সিলেট সানরাইজার্স অধিনায়ক রবি বোপারা বল টেম্পারিং করায় পেনাল্টি হিসেবে আরও ৫ রান যোগ হয় প্রতিপক্ষ স্কোরকার্ডে। ১৭ রানের ওভারটির পর সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম ২২ গজে করতে থাকেন প্রাণবন্ত ব্যাটিং। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যান চার-ছক্কার মিছিল। খুলনা টাইগার্স পায় ১৮২ রানের বড় পুঁজি।
৯ ওভারে ৩ উইকেট খরচায় ৬২ রান তোলা দল ২০ ওভারে ছাড়িয়ে যায় পৌনে দুইশর গণ্ডি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সৌম্য ও মুশফিক অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেন ১৩৬ রান।
সৌম্য ৬২ বলে চারটি করে চার-ছয়ে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন। মুশফিক ৩৮ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় খুলনা। সোহাগ গাজীর দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে যান আন্দ্রে ফ্লেচার (১)। শেখ মেহেদী হাসান (০) নেমেই স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন। ইয়াসির আলি রাব্বি টানা দুই বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন। অপর প্রান্তে সৌম্য খেলেন ধীরলয়ে।
১৮ বলে ২৩ রান করে বিপিএলে অভিষিক্ত স্বাধীনের বলে বোল্ড হন ইয়াসির। দলীয় পঞ্চাশের আগে তিন উইকেট হারায় খুলনা। ৩ উইকেটে ৪৬ রানে পাওয়ার-প্লে শেষ করে দলটি। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত লড়ে যান সৌম্য-মুশফিক। ফিফটি পূর্ণ করতে সৌম্য খেলেন ৪৩ বল। মুশফিকের লাগে মাত্র ৩২ বল।