সৌদি আরবে শিশুদের উপর পাথর ছুঁড়ে মারা, অঙ্গচ্ছেদ, চাবুক মারা বা ফাঁসি দেওয়ার আইনটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের একটি কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলছে, যেসব শিশুর বয়স ১৫ বছর পার হয়ে গেছে, তাদের পূর্ণ বয়স্ক হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে বিচার করা যাবে। এমনকি এদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে। তবে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, বিচারপ্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও নির্ভুলভাবে হয়েছে।
এই কমিটি ১৮ বছরের কম বয়সীদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে। কমিটির ১৮ জন স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, সৌদি আরবে নারী শিশুদের কখনো পূর্ণাঙ্গ নারীর অধিকার দেওয়া হয়না। সবসময় বৈষম্যের শিকার এসব নারীরা আইন ও অধিকারেও বাধাগ্রস্থ হয় এমনকি ছেলেদের প্রভূত্ব মেনে নিয়েই তাদের আজীবন বাস করতে হয়। সমতার অধিকার চাওয়া কন্যাশিশুদের উপর আঘাতকে কখনোই ঐতিহ্যবাহী, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত না। সুন্নি শাসিত এই দেশে শিয়া বা অন্যান্য ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর শিশুরা বরাবরই বৈষম্যের শিকার।
জাতিসংঘের রিপোর্ট মতে, গত ২ জানুয়ারি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার দায়ে ৪৭ জন মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে চারজনের বয়স ছিলো ১৮’র নিচে।
কমিটির এই ধরনের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সৌদি মানবাধিকার কমিশনের চেয়্যারম্যান বান্দার বিন মোহাম্মদ আল-আইবান বলেন, সব ধরনের আইনের উর্দ্ধে শরিয়া আইন। এমনকি শিশু অধিকারের ক্ষেত্রেও আমরা সেটাই মেনে চলি। শিশুদের রক্ষা করার জন্য সৌদি আরবও আগ্রহী।
সৌদি আরবে শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের যৌন হয়রানিও অবৈধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।