সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনায় আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সামরিক সহযোগীতা জোট ন্যাটো।
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, এই হামলায় জড়িত থেকে পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য দায়ী ইরান।
তবে হামলার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
এর আগে সৌদি আরবের রাষ্ট্র মালিকানাধীন তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর দুটি প্রধান স্থাপনায় ড্রোন হামলার ফলে আগুন ধরে যায়। তবে ইতোমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হামলার শিকার এই দুই ভবনের একটি দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের দাম্মামের কাছাকাছি অবস্থিত আবকাইক ভবন এবং অপরটি খুরাইস তেলক্ষেত্র। মন্ত্রণালয়টির এক মুখপাত্র শনিবার এসব কথা জানান বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ।
মন্ত্রণালয়টি জানায়, আরামকোর একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টিম এই দুই স্থাপনার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই দুই স্থাপনায় হামলার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে কারা এই হামলা চালাতে পারে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানায়নি সংবাদ সংস্থাটি।
সৌদি আরবে এর আগে যেসব হামলা হয়েছিল, সেসবের জন্য ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি যোদ্ধাদেরকে দায়ী করা হয়। তারা ইয়েমেনি সরকার এবং সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।