রাষ্ট্রীয় সফরে রোববার সৌদি আরব যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এ সফরে ব্যবসা-বিনিয়োগ থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা-বিষয়ক কয়েকটি চুক্তি সই হবে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এ সফরের মাধ্যমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করে ইসলামাবাদকে চাপে ফেলতে চাইছে নয়াদিল্লি।
কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের আরেক ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফর করেন নরেন্দ্র মোদি। সে সময় ইউএইর সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা সহযোগিতা-বিষয়ক চুক্তি সই হয়। দুই দেশের শীর্ষপর্যায়ের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠকের বিষয়টি চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সৌদি আরবের সঙ্গেও ব্যবসা-বিনিয়োগের পাশাপাশি নিরাপত্তা-বিষয়ক চুক্তি সই করবে ভারত।
ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মহাসচিব রাম মাদভ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌদি আরব সফর প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিষয়টি খুবই সহজ। আমরা পাকিস্তানকে মোকাবেলা করতে সবকিছুই করব। ইসলামাবাদের মিত্রদের মন জয় করতে অর্থনীতি থেকে শুরু করে আবেগীয় বন্ধন পর্যন্ত সব কৌশল প্রয়োগ করা হবে।’
এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক পুরোটাই ব্যবসায়িক। ভারতের শীর্ষ জ্বালানি সরবরাহকারী সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে মোট ৩৫ লাখ ভারতীয় অভিবাসী রয়েছে। কয়েক বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে কিছু নিরাপত্তা সহযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মোদি এখন এ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিচ্ছেন।