শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামী কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ। ১৫ অক্টোবর দেশে আনা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সেদেশের পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মিশন এ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কামরুলকে ফিরিয়ে আনতে সহাযোগিতার জন্য সৌদি আরব সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কামরুলকে দেশে ফেরৎ আনতে বাংলাদেশ পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ পৌঁছায়। ইন্টারপোল সংশিষ্ট বাংলাদেশ পুলিশের উর্দ্ধতন তিন কর্মকতা হলেন মাহবুবুল করিম, মোঃ রহমত উল্লাহ ও এস,এফ,এম,নিজাম উদ্দিন। আগামী ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তারা কামরুলকে নিয়ে রিয়াদ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
রাজন হত্যার পর কামরুল পালিয়ে সৌদি আরব যায়। জেদ্দায় আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহায়তায় জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একটি দল কামরুলকে ধরে সৌদি পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সৌদি বাদশার অনুমতির মাধ্যম কামরুলকে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। কামরুল বর্তমানে সৌদি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।