সৌদি আরবের ইতিহাসে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হল মেয়েদের ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। শনিবার অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে স্বতঃফুর্তভাবে অংশ নেন দেড় হাজার নারী। দেশটির পূর্ব প্রদেশ আল-আহসায় তিন কিলোমিটার ব্যাপী ‘আল-আহসা-রানস’ নামের ওই ম্যারাথন প্রতিযোগিতা হয়।
সৌদি সরকার বলছে, তাদের সামাজিক সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নারীদের ‘বড় ধরনের অধিকার’ দিতে এমন সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় পত্রিকা আনাদোলু ও আল-আরাবিয়া জানায়, ‘১৫০০ নারী ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন দেশের পেশাদার, অপেশাদার, বয়স্ক এবং তরুণীসহ সব বয়সের মেয়েরা দৌড়ে অংশ নেন।’
প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান দখল করেন সৌদি আরবের প্রতিযোগী মিনজা আল-নাসার। মাত্র ১৫ মিনিটে অন্যদের অনেক পেছনে ফেলে দৌড় শেষ করেন তিনি। দৌড়ের স্পন্সর ছিল সৌদি আরবের ক্রীড়ামন্ত্রণালয়, আল-মাসুদা হাসপাতাল এবং আল-আহসা পৌরসভা।
২৮ বছরের গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল-নাসার জানিয়েছেন, ২০১৪ থেকেই তার পরিবার তাকে খেলাধুলায় উৎসাহ দিয়ে আসছে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে তার প্রতিযোগিতা করার ইচ্ছে আছে বলেও জানান আল-নাসার।
সৌদিতে গত কয়েক বছরে নারী অধিকার রক্ষার কর্মকাণ্ড গতিশীল হয়েছে। এখন তারা গাড়িও চালাতে পারেন। মাঠে বসে খেলা দেখার অনুমতিও পেয়েছেন সৌদি নারীরা।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটির সমাজব্যবস্থাকে আধুনিক করতে ও অর্থনীতিকে গতিশীল করতে বিভিন্ন পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন।
সৌদি আরবে নারীদের কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে রাখা হয়। ভ্রমণ, কর্মক্ষেত্র বা স্বাস্থ্যগত কোন কারণে বাইরে যেতে হলে পুরুষ অভিভাবকের লিখিত অনুমতি নিতে হয়।