দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবে গিয়ে ওই দেশের সঙ্গে সাড়ে ৩শ’ বিলিয়ন ডলারের বেশ কয়েকটি চুক্তি সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে ১১০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি হয়েছে, যা মার্কিন ইতিহাসে বৃহত্তম।
সৌদি আরব সফরের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে আজ রিয়াদে আরব আমেরিকান ইসলামিক সম্মেলনে (এআইএ) যোগ দিয়ে ইসলাম নিয়ে নিজের দর্শন তুলে ধরেন ট্রাম্প।
সৌদি আরবে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সফর পরিচিত দৃশ্য হলেও নানা কারণে আলোচিত ট্রাম্পের এ সফর। ইরানবিরোধী মনোভাবের কারণে এরই মধ্যে পূর্বসূরি বারাক ওবামার চেয়ে বেশি আতিথেয়তা পেয়েছেন ট্রাম্প। তাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ। আর সাড়ে ৩শ’ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের চুক্তি সই করে যুক্তরাষ্ট্রও সৌদি আরবের প্রতি তাদের বন্ধুপ্রতীম মনোভাব বজায় রেখেছে।
সই হওয়া চুক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সামরিক চুক্তি। যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র কিনবে সৌদি আরব। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আশা এই অস্ত্র দিয়ে সৌদি আর মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে ব্যবহার করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের অপতৎপরতা রোধেই এই অস্ত্রচুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অস্ত্র চুক্তি ছাড়াও ১৫ বিলিয়ন ডলারের সমঝোতা চুক্তি করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেক্ট্রিক।
এছাড়াও আছে, সৌদি তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকো’র সাথে ১১টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ৫০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি।
৮ দিনের বিদেশ সফরের তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে সোম ও মঙ্গলবার ইসরাইল এবং পশ্চিম তীরে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।