চট্টগ্রাম থেকে: ঢাকা পর্বে টানা তিন ম্যাচ হেরে আসা সিলেট থান্ডার চট্টগ্রামেও সুবিধা করতে পারছে না। বিপিএলের দ্বিতীয় পর্বে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে তারা হেরেছে ৪ উইকেট।
মাত্র ১২৯ রানের পুঁজি নিয়েও শেষপর্যন্ত লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল সিলেট। কিন্তু নুরুল হাসান সোহান ও কেসরিক উইলিয়ামসের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১২ বল হাতে রেখেই ঘরের মাঠে জিতেছে চট্টগ্রাম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল চার ম্যাচে তিন জয় তুলে উঠে এল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
চট্টগ্রাম ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসলে জমে ওঠে লড়াই। সোহান আর কেসরিকের সপ্তম উইকেটে গড়া ৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তাদের নিয়ে যায় জয়ের বন্দরে।
একের পর এক উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা চট্টগ্রামকে আশা দেখান সিমন্স। সোহান ক্রিজে আসার আগ পর্যন্ত লড়ছিলেন একাই। ক্যারিবীয় ওপেনার যখন ফিফটির কাছে তখনই ভুল বোঝাবুঝি! রান আউট হয়ে ফিরে যান সিমন্স। ৮৪ রানে চট্টগ্রাম হারায় ৫ ব্যাটসম্যানকে।
মিডঅফে ড্রাইভ খেলে রানের জন্য ছুটছিলেন সিমন্স। ফিল্ডার বল হাতে না জমাতে পারায় দৌড় আর থামাননি। ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা সোহান পেছন ঘুরে তাকিয়ে থাকেন বলের দিকেই। ততক্ষণে রান আউট হয়ে গেছেন ৪৪ রানের ইনিংস খেলা সিমন্স।
জায়ান্ট স্ক্রিনে রিপ্লে দেখে খুব আফসোস হচ্ছিল সোহানের। হয়ত পণ করেছিলেন ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করবেন মাঠেই। এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ২৪ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে পরে জয়ের ঠিকানা খুঁজে পায় চট্টগ্রাম।
মারেন তিনটি বিশাল ছক্কা, তার ইনিংসে ছিল দুটি চারের মার। ক্যারিবীয় পেসার কেসরিক শেষদিকে সোহানকে সুযোগই দেননি রান বাড়িয়ে নেয়ার। ব্যাক টু ব্যাক চার-ছক্কায় দুই ওভার আগেই শেষ করে দেন ম্যাচ। ১৭ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সিলেটের বাঁহাতি পেসার ক্রিসমার সান্তোকি ৪ ওভারে ১৩ রানে নেন তিন উইকেট। দেলোয়ার হোসেন ও ইবাদত হোসেন নেন একটি করে উইকেট।
একই উইকেট। তবে দিন-রাতের পার্থক্যে দুই ম্যাচের চিত্রে দেখা গেল অনেকটা অমিল। দুপুরের ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের দেয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য ২ বল হাতে রেখেই টপকে যায় খুলনা টাইগার্স। সেখানেই ফ্লাড লাইটের নিচে ১৩০ রানের লক্ষ্যেই ঘাম ঝরিয়ে জিততে হয়েছে চট্টগ্রামকে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তোলে সিলেট। আন্দ্রে ফ্লেচার করেন সর্বোচ্চ ৩৮ রান। অধিনায়ক মোসাদ্দেক করেন ৩০ রান।
৪ ওভারে ২৩ রানে চার উইকেট নেন চট্টগ্রামের বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা। দুটি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। কেসরিক উইলিয়ামস ও মুক্তার আলি নেন একটি করে উইকেট।