চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সোহাগপুরের ঘাতকের ফাঁসি

যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর বিচার করতে ১৯৭৩ সালের আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে। আসছে বাজেট অধিবেশনেই এ সংশোধনী সংসদে পাশ হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।সোহাগপুরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রাত ১০টার পর তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হয়।

জল্লাদ রাজুর নেতৃত্বে পল্টু, শামসু, রণি ও রিপন ফাঁসির প্রক্রিয়া শেষ করেন।ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড রাত সাড়ে ১০টার দিকে কার্যকর করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে ১ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লেগেছে।’

রাত সাড়ে ১১টার পর পুলিশ প্রহরায় মরদেহ শেরপুরের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডকার্যকর করা হয়। কামারুজ্জামান হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যাকে একই অপরাধেফাঁসিতে ঝুলানো হল।এর আগে ঢাকা জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে কামারুজ্জামানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন সিভিল সার্জন। পরে একজন ইমাম তাকে তওবা পড়ান।বিকালে কামারুজ্জামানের সঙ্গে শেষ দেখা করেন তার পরিবারের সদস্যরা। বিকাল ৪টার কিছু পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন তার পরিবারের মোট ২১ সদস্য। কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন তার স্ত্রী নূরুন্নাহার, দুই ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি ও হাসান ইমাম ওয়াসি, বড় ভাই কামরুল, ভাবী আফিয়া নূর এবং মেয়ে আতিয়া নূর।

প্রায় দেড় ঘন্টা পর কারাগার থেকে বের হন তারা। কারাগার থেকে বের হয়ে মূল ফটকের সামনে কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি জানান, শেরপুরে গ্রামের বাড়িতে কামারুজ্জামানের দাফন হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট দেখা করেননি। এ বিষয়ে মিথ্যা বলা হয়েছে।’

হাসান ইকবাল তার বাবার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, সরকার প্রাণভিক্ষা দেয়ার কেউ না। প্রাণভিক্ষা চাইলে আল্লাহর কাছেই চাইবো।তিনি বলেন, আমার বাবার শেষ ইচ্ছা জামায়াতে ইসলামীকে শীর্ষ অবস্থানে দেখতে চান।এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর কামারুজ্জামানকে তা পড়ে শোনানো হয়। এ আদেশ পেয়ে  কারা কর্তৃপক্ষ  বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে দেখা করতে পরিবারকে কারাগারে আসতে বলে।

তবে শুক্রবার রাতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো কারা কর্তৃপক্ষ।ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে কারা ফটকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কারারক্ষী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে। গণমাধ্যম কর্মীরা আগে কারা ফটকের কাছে যেতে পারলেও শনিবার বেষ্টনীর ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।