সোমবার মাঠে গড়াবে বিসিবি একাডেমি কাপ। ঢাকা শহরের ৩২টি একাডেমি অংশ নিচ্ছে এবারের টুর্নামেন্টে। খুদে ক্রিকেটারদের উৎসাহ যোগাতে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মিরপুরের একাডেমি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের আনন্দ নিয়ে খেলতে বলেন।
‘খেলার আনন্দ নিয়েই ওদের খেলতে বলব। এখনই অনেক বড় লক্ষ্য ঠিক করা মনে হয় না ঠিক হবে। যদি খেলাটা উপভোগ করে, ভালো একটা ফল পায়; এটাই ওদের সবচেয়ে বড় পাওয়া হবে। মনোযোগ দিয়ে অবশ্যই খেলবে। এ টুর্নামেন্টকে যেন সবকিছু মনে না করে। এখানে যারা ব্যর্থ হবে, তাদের জন্য যেমন শেষ না, আবার সফল হলে, সব পাওয়া হয়ে গেল, সেটিও নয়। এটা একটা শুরু মাত্র। ওরা যেন সে সব চিন্তা করে খেলে। এ টুর্নামেন্টের মজাটা যেন ওরা নিতে পারে।’
সাকিব আশা করেন এই টুর্নামেন্টে খেলার মধ্য দিয়ে অনেক খুদে ক্রিকেটার বিসিবির নজর কাড়তে সক্ষম হবেন। উঠে আসবে টাইগার ক্রিকেটের ভবিষ্যত মুখ, ‘এটি খুবই বড় প্লাটফর্ম। আমি যতটুকু জানি, ঢাকা শহরে প্রচুর একাডেমি আছে। এসব একাডেমিতে যত খেলোয়াড় আছে তাদের একটা প্লাটফর্ম থাকা দরকার। ওই প্লাটফর্ম তৈরি করতে বিসিবি খুব ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছে।’
‘এটির মাধ্যমে অনেকে নজর কাড়তে পারে। কীভাবে আরও ওপরে উঠবে সেটির একটা প্লাটফর্ম হতে পারে। বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য। এখানে যারা অংশ নেবে তাদেরও একটা দায়িত্ব থাকবে যেন ভালো কিছু করতে পারে। এটির মাধ্যমে চোখে পড়তে পারে। যেহেতু একাডেমির খেলোয়াড়েরা খেলবে সবাই অনূর্ধ্ব–১৯ বা এর নিচে। এখান থেকে যেন অনেক খেলোয়াড় উঠে আসতে পারে সে আশাই করব।’ -বলেন সাকিব।
১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া একাডেমি কাপের ফাইনাল হবে ৭ এপ্রিল। ৩২টি একাডেমি খেলবে ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে। গ্রুপের সেরা দুটি দল খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। খেলা হবে চার মাঠে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ হল, সিটি ক্লাব ও ফতুল্লা আউটার স্টেডিয়ামে।