নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে একটি মহল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দ দেয়া জায়গায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দ দেয়া জায়গাটি নিজেদের বলে দাবি করে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করে জনৈক শফিকুল ইসলাম।
নিজেকে সোনারগাঁ উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ (ইউ.সি.সি.এ.লিঃ) এর সভাপতি পরিচয় দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন: বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর বরাদ্দকৃত জমিতে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেআইনীভাবে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারকে আগামী ১২ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন জেলা আদালত।
তবে বিষয়টিকে একটি ভালো কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরির অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার।
তিনি বলেন: এই জমি উপজেলা প্রশাসনের। উপজেলা বিআরডিবিকে ব্যবহারের জন্য দিয়েছিল। পরে অধিগ্রহণও করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে বিআরডিবির সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি এখনো জায়গার মালিকানা দাবি করে বসে আছে। এটাতো হতে পারে না। আদালত আমাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমাদের বক্তব্য রেডি হচ্ছে। আমরা জবাব দেব।
তিনি বলেন: এটি হলো একটি ভালো কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরির অপচেষ্টা। পুরাতন একতলা মসজিদের জায়গায় পাঁচতলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ হবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা প্রকল্প।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ’ করা হবে। যেখানে বিপুল সংখ্যক নারী ও পুরুষদের নামাজ আদায়ের সুবিধা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অফিস, লাইব্রেরি, গবেষণা ও দাওয়াহ কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন পঠন ও হেফজ বিভাগ, কনফারেন্স হল, প্রশিক্ষণকেন্দ্র, শিশুশিক্ষা, নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক অজুর ব্যবস্থা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রী ও ইমাম প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
গতবছর ৫ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে দেশের ৯টি স্থানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এমন প্রেক্ষাপটে মসজিদ নির্মাণের কাজ বাধাগ্রস্ত করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।