এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইপর্বে সাফল্যের বন্যায় ভেসেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। মূলপর্বের শুরুতে দেখা মিললো ঠিক তার উল্টোটা। এই অঞ্চলের পরাশক্তিদের ফুটবল দক্ষতার গভীরতা কোন পর্যায়ের সেটাই যেন কৃষ্ণাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির মেয়েদের কাছে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত হবার পর বৃহস্পতিবার জাপান পরীক্ষা লাল-সবুজদের। বড় হারের ধাক্কা সামলে মেয়েরা প্রস্তুত তো?
উত্তর কোরিয়ার থেকে ঢের শক্তিশালী দলের নাম জাপান। টুর্নামেন্টের তিনবারের শিরোপাজয়ী তারা। এশিয়ার আরেক পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টুর্নামেন্টে সূচনাও করেছে দারুণ।
তবে খেলাটা যখন জাপানের বিপক্ষে, একটা ভরসা পেতেই পারে বাংলাদেশের মেয়েরা। জাপানি মেয়েদের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৪তেও দেখা হয়েছিল কৃষ্ণাদের। টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে দুদফা জাপানে খেলে এসেছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। প্রতিপক্ষকে তাই কিছুটা চেনাও লাগছে কৃষ্ণাদের।
মিডফিল্ডার মৌসুমীও জানালেন জাপানের বিপক্ষে নামার আগে বড় দলের জুজু কাজ করছে না তাদের মাঝে, ‘তাদের যে খেলার ধরণ, সেটার সঙ্গে আমরা পরিচিত। বিষয়গুলো কোচ আমদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে কোরিয়ার মত বিশ্বসেরা দলের বিপক্ষে খেলেছি, তাই একটু ভয়ে ছিলাম। কিন্তু ওদের বিপক্ষে খেলার পর আমাদের ভয়টা কেটে গেছে।’
মৌসুমীর কথা যেন কোচ রব্বানীর বক্তব্যরই প্রতিফলন। কোরিয়ার বিপক্ষে বিধ্বস্ত হবার পর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ঘুরে দাঁড়াবে তার মেয়েরা, ‘দ্বিতীয় ম্যাচটা জাপানের বিপক্ষে। তারা অনেক শক্তিশালী। আমরা আমাদের সর্বস্ব দিয়ে তাদের বিপক্ষে চেষ্টা করবো।’
ছোটন প্রায় একই কথা বলেছিলেন কোরিয়ার বিপক্ষের ম্যাচের আগেও। কিন্তু সেই ম্যাচে দেখা গেছে লেজেগোবরে এক দলকে। কৃষ্ণা-মৌসুমীদের সামনে এবার চ্যালেঞ্জে সেই অবস্থাটা ঝেড়ে ফেলে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে ফল এনে দেয়া।