দলের প্রধান অস্ত্র রোনালদোকে ছাড়াও যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ তা টের পেয়েছে সেল্টা ভিগো। শনিবার লা লিগার ম্যাচে ঘরের মাঠে সেলটাকে গুনে গুনে আধা ডজন গোল দিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তবে সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রতিপক্ষকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে এখন ‘ঝামেলায়’ কোচ জিনেদিন জিদান।
এদিন রোনালদোকে মাঠে নামাননি জিনেদিন জিদান। জোড়া গোল করেছেন গ্যারেথ বেল। এছাড়া গোল পেয়েছেন আশরাফ হাকিমি, ইসকো ও টনি ক্রুস। বেল-ইসকোদের পারফরমান্স দেখে ম্যাচ শেষে জিদান বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে দল নির্বাচন নিয়ে মাথা ব্যথা বাড়ল। এটা আমাকে একটু ‘ঝামেলায়’ ফেলেছে।
আগামী ২৭ মে ইউক্রেনের কিয়েভে ইউরো সেরার ফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে রিয়াল।
চলতি মৌসুমে এটি ছিল ঘরের মাঠে রিয়ালের সর্বশেষ ম্যাচ। সেকারণেই হয়তো গোল উৎসবে মেতে উঠেছিলেন জিদানের শিষ্যরা। ম্যাচের প্রথম দুটি গোলই আসে গ্যারেথ বেলের কাছ থেকে। ১৩ মিনিটের মাথায় দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। এরপর ৩০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ওয়েলস ফরোয়ার্ড। তার ঠিক দুই মিনিট পর ক্রুসের পাস থেকে বল পেয়ে সেল্টার জালে পাঠাতে মোটেও ভুল করেননি ইসকো। রিয়াল এগিয়ে যায় ৩-০ গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে, ম্যাচের ৫২ মিনিটে রিয়ালের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন হাকিমি। ৪-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও গোল ক্ষুধা মেটেনি রিয়ালের। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত সেল্টার ডিফেন্স মারাত্মক ভুল করে ৭৪ মিনিটে। আসেনসিওর নিচু ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সার্জিও গোমেস। এরপর ৮১ মিনিটে সেল্টার জালে ষষ্ঠবারের মতো বল পাঠান ক্রুস।
এই জয়ে ৩৭ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে থেকে লিগ শেষ করা নিশ্চিত করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে ৩৭ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আর আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৬ ম্যাচে ৯০।