একটা সময় ছিলো সেলিম আল দীনের সঙ্গে সারাক্ষণ শিল্পকর্মে নিয়ে কথা হতো, কাজ হতো। আসলে তিনি আমার শিল্পভাবনার গুরু। তাকে আমি আমার জীবনের পরিপূর্ণ অনুসারী মনে করি। তবে দূরে রেখে আমি তাকে অনুসরণ করি। তিনি বেঁচে আছেন আমাদের সবার অন্তরে।
বৃহস্পতিবার চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত তারকালাপ অনুষ্ঠান ‘সিটিসেল তারকা কথন’ অনুষ্ঠানে সেলিম আল দীনের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ এক পর্বে সেলিম আল দীনকে স্মরণ করে মাসুম রেজা একথা বলেন।
মাসুম রেজা বলেন, ‘সেলিম আল দীন শুধু নাট্যকার ছিলেন না। ওনি একজন বড়মাপের শিক্ষকও ছিলেন। যার শিষ্য স্বয়ং আমি। আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করি যে ওনার মতো একজন গুরু পেয়েছি। আমরা সাধারণত শিক্ষক বলতে বুঝি ক্লাস মধ্যে তা কর্ম সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি ভিন্ন ছিলেন। শুধু ক্লাস নয় সর্বক্ষণেই তিনিই তার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতেন। এমনকি বিকেলে ওনি হাঁটতে বেড়িয়েছেন তখনও শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে যেতেন।’
মৃত্যুর পর প্রখ্যাত নাট্যকার সেলিম আল দীনকে আমরা কতটুকু মনে রাখতে পারছি এমন প্রশ্নে ভবের হাট, রঙের মানুষ খ্যাত নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘আসলে ওনি খুব বড় মাপের মানুষ ছিলেন। তিনি তো শুধু নাট্যকার ছিলেন না, একাধারে সঙ্গীতশিল্পী, গবেষক, চলচ্চিত্রকারও ছিলেন। তার মৃত্যুর পর ঠিক একিভাবে তাকে নিয়ে চর্চা করা হচ্ছে।বিভিন্ন নাট্য থিয়েটার তার জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকীতে তার রচিত বিভিন্ন নাট্য নিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করে থাকে।’
‘এছাড়াও প্রজন্মের কাছে নাট্যতত্ত্ব সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য সেলিম আল দীন নাট্যকোষ গবেষণা করে গেছেন। যেখানে, পাঁচালি থেকে শুরু করে লালন, ঘেটুপুত্র’র বড় বড় নাট্যের সবধরণের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। ওনার এ গবেষণা থেকে বেড়িয়ে এসেছে বাংলা নাট্যভাণ্ডার কারো কাছে ঋণী নয়।’
বর্তমানে কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে জানতে চাইলে মাসুম রেজা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চে কাজ করা হয় না। তবে বর্তমানে আমার সুরগাঁও নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছি আমার নাট্যদল দেশনাটক নিয়ে।’