মেসির ছায়া থেকে বের হয়ে বিশ্বসেরা হওয়ার লক্ষ্যে বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) পাড়ি জমিয়েছেন নেইমার। ফরাসি লিগে শুরুটা মনের মতই করেছেন ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা। কিন্তু বিশ্বসেরা হতে গেলে লিগের সঙ্গে অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ভাল করা চাই। ভাল করা মানে শিরোপা জেতা। সেটা মাথায় রেখেই সেরা হওয়ার পথে প্রথমবার বড় পরীক্ষায় নামছেন নেইমার।
পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন সেল্টিকের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে গোলও পেয়েছেন নেইমার। তবে তার জন্য প্রথম বড় পরীক্ষাটা অপেক্ষা করছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হওয়া। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে ‘বাভারিয়ান’দের মুখোমুখি হবে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা।
ম্যাচের আগে নেতিবাচক ঘটনায় সমতায় আছে দুই দলই। দারুণ শুরুর পর পিএসজি হঠাত করেই পথ হারিয়েছে। জার্মান ‘কাইজাররা’ও ধুঁকছে লিগের শুরু থেকেই। তাই দুদলের জন্য অ্যাসিড টেস্টের ম্যাচ। লড়াইয়ে ফিরতে এমন আগুনে ম্যাচ জয়ের কোনও বিকল্পই হয় না।
মৌসুম শুরুর আগ থেকেই পিএসজির জন্য সবকিছু ছিল স্বপ্নের মতো। নিজেদের অস্ত্রাগারে বার্সেলোনা থেকে ২২২ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে নেইমারকে নিয়ে আসা, পরে দলবদলের শেষ মুহূর্তে কাইলিয়ান এমবাপ্পেকেও রাজধানীতে উড়িয়ে আনে দলটি। মাঠের লড়াইয়েও প্রতিদান আসছিল তাদের পা থেকে। বিশেষ করে নেইমার প্রথম চার ম্যাচে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছিলেন। চারটি গোল করার পাশাপাশি অবদানও রেখেছেন চার গোলে।
কিন্তু লিওঁর বিপক্ষে ম্যাচে সব যেন গুলিয়ে গেল। এক পেনাল্টি নেয়াকে কেন্দ্র করে কাভানির সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে ভুল কারণে সংবাদ শিরোনামে নেইমার। ইনজুরির কারণে বসে থাকতে হল পরের ম্যাচেও। যদিও অনেকে ওই ম্যাচে তার বাদ পড়াকে শাস্তি হিসেবেই সন্দেহ করেছিলেন।
নেইমারহীন সেই ম্যাচে পিএসজি যেন একরকম আত্মসমর্পণই করে বসল। মঁপেলিয়ের বিপক্ষে কোনও গোল না করেই ম্যাচ শেষ করতে হয় তাদের। এ অবস্থায় দলের অনৈক্যের দিকেই আঙুল তুলছেন সমালোচকরা। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, নেইমারবিহীন পিএসজি আসলেই কতটা শক্তিশালী তা নিয়েও। বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচে তাই মাঠের পিএসজির চেয়ে মাঠের বাইরের পিএসজিই হয়ে উঠতে পারে আসল ‘ফ্যাক্টর’।
অবশ্য পরিসংখ্যান দেখে ম্যাচটি নিয়ে খুশি হতে পারেন পিএসজি কোচ উনাই এমেরি। প্যারিসে এসে এখন পর্যন্ত কোনও পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারেনি বায়ার্ন। পিএসজির মাঠে মুখোমুখি তিন ম্যাচে তিনটিতেই হেরেছে জার্মান জায়ান্টরা।