সিলেট থেকে: মিরপুরে টানা চার ম্যাচ হেরে কোণঠাসা অবস্থায় সিলেটে আসা খুলনা টাইটানস খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে। ভেন্যু পরিবর্তন হতেই ঘুরেছে তাদের ভাগ্য। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে মাত্র ১২৮ রারেন পুঁজি নিয়েও সহজ জয় পেয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
টি-টুয়েন্টি সংস্করণে নিজের সেরা বোলিংটাই এ ম্যাচে করেছেন তাইজুল। ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট। হজম করেননি কোনো বাউন্ডারি। লো-স্কোরিং ম্যাচে ২৫ রানের অসাধারণ জয় তোলা টাইটানসের ম্যাচসেরা ক্রিকেটারও এ বাঁহাতি স্পিনার।
মাঠে বোলিংয়ে তোপ দেখা গেলেও সংবাদ সম্মেলনে এসে নির্লিপ্ত তাইজুল। লাল বলের পরীক্ষিত সৈনিক সাদা বল হাতে অসাধারণ সাফল্য পেলেও খুব উচ্ছ্বসিত দেখা গেল না। টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ফিগার নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে বোলিংয়ের মতোই অনুভূতি প্রকাশেও থাকলেন কিপটে।
‘সাদা বলের ক্রিকেট যে কখনো খেলিনি এমন নয়। এর আগে জাতীয় দলে খেলেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছি, বিপিএলও খেলেছি। সব সময় আমি সব ক্রিকেটই উপভোগ করি।’
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিন নিশ্চয়ই আলাদা অনুভূতি হচ্ছে? শেষ প্রশ্নের উত্তরে মজা করে তাইজুল বললেন, ‘ক্যারিয়ার তো এখনও পড়ে আছে অনেক। ক্যারিয়ার তো শেষ হয়নি।’
লাল বলে তার ভেল্কি দেখা যায় প্রায়ই। বোলিং আস্থার ছাপ রেখে হয়ে উঠেছেন সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার। ২০১৮ সালে ৭ টেস্টে ৪৩ উইকেট শিকার করা তাইজুল ইসলাম সাদা বলেও রাখছেন আস্থার প্রতিদান। সেটিও আবার টি-টুয়েন্টি সংস্করণ বিপিএলের মঞ্চে।
অভিষেক আন্তর্জাতিক ম্যাচে (ওয়ানডে) হ্যাটট্রিক করা তাইজুল দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে পারছেন না সাদা বলের ক্রিকেট। সেজন্য বোলিংটা যে ভুলে যাননি, সেটাই যেন প্রমাণ করলেন সিলেটে এসে।