বিশ্বকাপ মিশনের জন্য এক এক করে ১৫ ক্রিকেটারের নাম বললেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। প্রধান নির্বাচক দল ঘোষণা করার পর সংবাদ সম্মেলন খুব দীর্ঘ হল না। বিশ্বকাপ স্কোয়াড কেমন হতে পারে সেটি অনুমেয় ছিল বলেই। তাসকিন আহমেদ ও শফিউল ইসলামকে টপকে কোনো ওয়ানডে না খেলা আবু জায়েদ রাহির অন্তর্ভুক্তি কেবল চমক হয়ে এসেছে। বাকী ১৪ ক্রিকেটারকে দলে রাখতে খুব বেশি হিসেব কষতে হয়নি নির্বাচকদের।
এবার ইংল্যান্ডে হবে বিশ্বকাপ। যেখানকার ক্লাব ক্রিকেটে একযুগ খেলার অভিজ্ঞতা আছে মিনহাজুলের। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মাটিতে দারুণ খেলা মিনহাজুল খুব ভালো জানেন সেখানকার কন্ডিশন। সেই অভিজ্ঞ মানুষটি বিশ্বকাপ ঘিরে নিজের প্রত্যাশা রাখছেন উঁচুতে। তার মতে, এক থেকে চারে থাকার মতো দল বাংলাদেশ। কেনো এত বড় প্রত্যাশা? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মিনহাজুল।
‘এক থেকে চারের মধ্যে যাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে সবসময়। আর আমি মনে করি এখন যে অভিজ্ঞ দল ওয়ানডের, আমরা ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫১ শতাংশ ম্যাচ জিতেছি। এটা একটা প্লাস পয়েন্ট। যতগুলো ওয়ানডে খেলেছি তার মধ্যে ৫১ শতাংশ ম্যাচ জিতেছি। এই অভিজ্ঞতার কারণেই আমাদের প্রত্যাশা বেশি। আমি মনে করি এই দলের অবশ্যই সামর্থ্য আছে এক থেকে চারের মধ্যে থাকার।’
‘আমি মনে করি পুরো ভারসাম্যপূর্ণ দল এটি। যেহেতু একটি লম্বা সফরের টুর্নামেন্ট। এই কারণে ধারাবাহিক পারফর্ম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে নয়টি ম্যাচ এবং এখানে ফাইনালসহ পাঁচটি ম্যাচ হবে, সুতরাং ১৪টি ম্যাচে পারফরম্যান্স ধারাবাহিক থাকতে হবে। এই কারণে অভিজ্ঞতার গুরুত্বটা বেশি। আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের খেলোয়াড়েরা এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং অনেকগুলো খেলোয়াড়ের ১০০এর উপরে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এই দলটি অনেক ব্যালেন্সড দল এবং আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ভালো করবো।’
বিশ্বকাপের দলে আবু জায়েদ ছাড়া সবাই অভিজ্ঞ। দলের ১৪ ক্রিকেটারই গেল ৩-৪ বছর ধরে আছেন টাইগার জার্সিতে। যে কারণে এটিকেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা দলের তকমা দিলেন প্রধান নির্বাচক।
‘অবশ্যই সেরা দল। বিশ্বকাপের জন্য আমরা দল তৈরি করেছি, অবশ্যই এই মুহূর্তে এটা সেরা দল। এখানে কিন্তু একজন বাদে বাকী সবারই অভিজ্ঞতা আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার। আবু জায়েদ রাহিরই শুধু অভিষেক হয়নি। সেই হিসেবে আমি মনে করি এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে আমরা ভালো করবো।’
ছবি: ওবায়দুল হক তুহিন