সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। ক্রোক সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিন সেফুদার গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এরপর আইনুযায়ী আদালত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে সিফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান, অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলছেন এবং কোরআনকে অবমাননা করছেন; যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
এছাড়া এ আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, আক্রমণাত্মক কথা বলেছেন। এমনকি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটুক্তি করেছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।