সেনাবাহিনীর উপর গভীর আস্থা প্রকাশ করছে বিএনপি। দলটি বলছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েন করার পর পরিস্থিতি বদলে যাবে। দলটির প্রার্থীরা প্রচারণায় নামতে পারবে বলে মনে করছে।
শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কাযালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন: ২৪ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েন করা হবে। আশা করি পরিস্থিতির ভালো হবে। সেনাবাহিনীকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে। আমরা আশা করবো, সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করবেন এবং গণতন্ত্র রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে।
এসময় ফখরুল অভিযোগ করে বলেন: দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, এমনকি বিচার বিভাগ একজোট হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন: রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর এমন ভূমিকায় আমরা শুধু উদ্বিগ্ন নয়, আতংকিত। এসময় নির্বাচন ইতোমধ্যে একটি প্রহসন ও তামাশায় পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন
ফখরুল আরো বলেন: আশা করেছিলাম অন্তত তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী দলের প্রার্থীদের নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবো এবং তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে স্থগিত থাকবে। অবিশ্বাস্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। যেখানে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না, আর কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
ফখরুল আশা করেন, আমি তবু আশা করি, নির্বাচন কমিশন, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সর্বোপরি সেনাবাহিনী সকলের মধ্যে দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেম জাগ্রত হবে এবং বিবেকবোধ জেগে উঠবে।
ফখরুল অভিযোগ করেন: বিচার বিভাগ কিভাবে পক্ষপাত করছে অবিশ্বাস্য ব্যাপার। একদম উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের প্রার্থীদেরকে বাতিল করছে।
ফখরুল এসময় দাবি জানান, যে আসনগুলোতে বেআইনিভাবে শূন্য ঘোষণা করা হচ্ছে আবার প্রার্থী দেয়ার সুযোগ দেয়া হোক অথবা সে আসনগুলোতে স্থগিত রেখে নতুন নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হোক।
বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ। আব্দুল হামিদ, আবু সাইদ চাঁদ, রেজা আহম্মদ বাচ্চু, মনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, খায়রুল কবির খোকন, মনিরুল হল চৌধুরী, আ ন ম শামসুল ইসলাম, হামিদুর রহমান আযাদ সহ ১৫ জন প্রার্থী কারাগারে। ইতোমধ্যে ৭ জনের প্রার্থিতা অবৈধ করেছে হাইকোর্ট, ২৫ জনের নাম ঝুলছে আদালতে।
মহাসচিব অভিযোগ করেন, ঢাকা শহরে বিএনপির কোনো পোস্টার নাই৷ পোস্টার লাগাতে গেলে আওয়ামী লীগ মারে না, পুলিশ মারে। গুলি করে, ঠ্যাং ভেঙে দেয়। হুমকি ধমকি দিয়ে তারা আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। এ ক’দিনে তারচেয়ে বড় সন্ত্রাস আর কি হতে পারে? একদিকে আওয়ামী সন্ত্রাস অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই, আপনারা দায়িত্ব পালন করুন৷ রাষ্ট্র আপনাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা নিরপেক্ষভাবে পালন করুন। সেনাবাহিনী, বিজিবি, প্রশাসনের কাছে বলছি, বাংলাদেশ সবার দেশ। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য রাষ্ট্র যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করুন। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, তা পালন করুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম, যুগ্ম মহাসচিব সৈদয় মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তাবিথ আউয়াল প্রমুখ৷