সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেছেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচারে সেনাবাহিনী থেকে কখনই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি এবং তনু হত্যার ব্যাপারে কথা বলতে কেউ আমাকে মানা করেনি।
তিনি আরো বলেন, তনু হত্যার বিচারে বুধবার ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে সম্মলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিবাদ সভায় আমি উপস্থিত হয়ে সভায় এবং গণমাধ্যমে ক্ষোভ এবং প্রতিবাদ জানাই, আমার কথা বুঝতে না পেরে ক’টি অনলাইন পত্রিকায় ভুল সংবাদ পরিবেশন করে।
পাঠক যেন ‘ভুল সংবাদে বিভ্রান্ত’ না হয় সেজন্যে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
পোস্টটিতে নাসির উদ্দীন ইউসুফ তার মূল কথা তুলে ধরে বলেন, ২১ মার্চ সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির ৪ তলায় আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের অস্থায়ী দফতরে আমি, লিয়াকত আলী লাকি, ঝুনা চৌধুরি, দেবপ্রসাদ দেবনাথ, আকতারুজ্জামান, আহমদ গিয়াস সহ ক’জন নাট্যকর্মী ২৭ মার্চ বিশ্ব নাট্যদিবসের অনুষ্ঠান সংক্রান্ত আলোচনায় মিলিত হই।
সেখানে ঝুনা চৌধুরি তনু হত্যার খবর দেন! আমরা সকলে হতবাক হয়ে যাই! এ ব্যপারে প্রতিবাদের কথা আমি উত্থাপন করলে ঝুনা চৌধুরি বলেন “অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিত কিন্তু হত্যাকাণ্ড কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সংঘটিত হওয়ার কারণে ক্যান্টনমেন্ট থেকে কিছু না করার কথা বলা হয়েছে “! আমি বলি এটি অন্যায় ।
একটি বর্বর হত্যাকাণ্ড যেখানেই ঘটুক না কেন আমরা তার প্রতিবাদ করবো, প্রতিরোধ করবো এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এ ব্যাপারে দায়িত্ব এড়াতে পারে না। উপস্থিত সকলে একমত পোষণ করেন।
আমি “তনুর মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়” শিরোনামে একটি পোস্ট দেই যা দ্রুত পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে! এবং সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ।
তিনি আরও বলেন, আশা করি ভুল সংশোধন করে তনু হত্যার বিচারের দাবীতে সোচ্চার হবেন ।
গত রোববার রাত সাড়ে দশটায় কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের কাছের জঙ্গলে পাওয়া যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাধারণ ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর ক্ষত বিক্ষত মরদেহ।
ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনার প্রকাশিত হলে সারাদেশে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।