চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সেনাবাহিনীর প্রধানকে মেরে ফেললেন কিম জং উন!

নিজের দেশের সেনাবাহিনীর প্রধানকে মেরে ফেলেছেন নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং-উন। কোরিয়ান পিপল’স আর্মির প্রধান জেনারেল রি ইয়ং-গিলকে পৃথক রাজনৈতিক গোষ্ঠী তৈরি এবং দুর্নীতির দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সাউথ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ নিউজের বরাত দিয়ে জানিয়েছে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।

নর্থ কোরিয়ার তরফে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি ঠিকই। তবে জেনারেল রি ইয়ং-গিলকে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।জেনারেল রি ইয়ং-গিল নর্থ কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনের খুবই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিম যেখানে যেতেন, সেখানেই তার পাশে দেখা যেত রি ইয়ং গিলকে।

কিন্তু ৭ ফেব্রুয়ারি নর্থ কোরিয়ার বিতর্কিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের সময় যে সব সরকারি কর্তারা উপস্থিত ছিলেন, সেই তালিকায় রহস্যজনক ভাবে জেনারেল রি ইয়ং-গিলের নাম ছিল না। কিম-এর নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতারা দিন কয়েক আগে যে বৈঠকে বসেছিলেন, তাতেও রি ইয়ং-গিলকে দেখা যায়নি।

বাবা কিম জং-ইলের মৃত্যুর পর কিম জং-উন নর্থ কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার পদে বসেন। তার পর থেকে দল, সরকার এবং সেনাবাহিনীতে নিজের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে উন তাঁর বাবার ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু নেতা এবং সেনা অফিসারকে বরখাস্ত করেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

সাউথ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়াতেই জেনারেল রি ইয়ং-গিলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আলাদা রাজনৈতিক গোষ্ঠী তৈরি করে কিম জং-উনকে ক্ষমতাচ্যুত করার চক্রান্ত করছিলেন জেনারেল রি এমনই অভিযোগ এনে রি-কে প্রথমে পদচ্যুত করা হয়। তার পর মেরে ফেলা হয়।

এর আগে ঠিক একই অভিযোগ এনে ওয়ার্কার্স পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা নিজের পিসেমশাইকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিলেন কিম জং-উন।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, কিম জং-উন কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। দেশের সেনার উপর তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব রয়েছে কি না, তা নিয়ে কিম নাকি সন্দিহান। তাই কাউকে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলেই, তাকে হত্যার আদেশ দিয়ে দিচ্ছেন নর্থ কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা।