দেশ ও জাতির প্রয়োজনে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার বড় দায়িত্ব সেনাবাহিনীর।
শনিবার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৯ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সৌম্য, শক্তি, ক্ষিপ্রতা এই মন্ত্রে দীক্ষিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র সন্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্বসহ রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। এই রেজিমেন্ট নিয়েই মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়।
বর্তমানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টই সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় সৈন্য বিন্নাস। সেনাবাহিনীর ১৫টি পদাতিক ব্রিগেড রয়েছে এই পদাতিক রেজিমেন্টের ব্যাটেলিয়ানে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি, এটা আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। এবং এটা করার পরেই বাংলাদেশের ভাবমূতি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে। আর এখানে আমাদের সেনাবাহিনী যথেষ্ট অবদান রেখে যাচ্ছে। সেজন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এবং আমি সব সময় এটাই চাইব জাতির যে কোন প্রয়োজনে দেশ ও জাতির সেবায় সেনাবাহিনী যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করে বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে প্রতিটি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা তার ভাষণে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক করে গড়ে তুলতে সরকারের পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন তিনি।
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে অস্ত্রেসস্ত্রে সুসজ্জিত করে গোড়ে তোলার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ উন্নয়নের সাথে সাথে সশস্ত্র বাহিনীও উন্নয়ন হবে।
‘আমাদের সব সময় লক্ষ্য যে দেশ কে যেমন আমরা উন্নয়ন করছি সেই সাথে সাথে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতি করার। একটা কথা মনে রাখতে হবে আপনারা এদেশের সন্তান, এদেশের গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে আছে আপনারই আপনজন। কাজেই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কল্যাণ করা আপনাদের দ্বায়িত্ব’
পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার উদারহণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে এক সময় যারা করুণার চোখে দেখতো তাদেরও দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা চলবো মাথা তুলে।’