জোড়া সেঞ্চুরির পর হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া। মুমিনুল হক স্ব-মহিমায় ফিরলেন সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই। মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এ বাঁহাতি পেয়েছেন ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি।
অফস্পিনার সিকান্দার রাজাকে চার মেরে পৌঁছান তিন অঙ্কে। খেলেন ১৫০ বল। সেঞ্চুরির পথে হাঁকান ১২টি চার।
চা-বিরতি পর্যন্ত ৫৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৭ রান। মুমিনুল হক ১১৫ ও মুশফিকুর রহিম ৭১ রানে অপরাজিত আছেন।
মুমিনুল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন আট ইনিংস পর। গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসে করেন ১৭৬ ও ১০৫। পরের আট ইনিংসে (৯, ১১, ১৫, ০, ০, ১, ৩৩, ০) করে যান নিজেকে ফিরে পাওয়ার সংগ্রাম। অবশেষে নিজেকে ফিরে পেলেন মুমিনুল।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার সকাল সকালই ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তোলেন মুমিনুল।
মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে খেলতে থাকেন আত্মবিশ্বাসী সব শট। চতুর্থ উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে বাংলাদেশের রান নিয়ে গেছেন দুইশ’ পেরিয়ে। নিজেদের জুটিও দুইশর কাছাকাছি, ১৮১ রানে পৌঁছে গেছে।
মুশফিক-মুমিনুলের ১৮১ রানের জুটিটি চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের সেরা। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৮০। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল ও লিটন দাস চতুর্থ উইকেট জুটিকে যোগ করেন ১৮০ রান।
মুমিনুল রানে, মুশফিকও, সঙ্গে রানে বাংলাদেশ। শেষ আট ইনিংসে দুইশর মুখে না দেখা টাইগাদের বড় স্বস্তির জায়গা সেটাই!