ভারতীয় ক্রিকেটে এখন আলোচনায় ঋদ্ধিমান সাহা। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার শুরুতে টেস্ট দল থেকে বাদ পরে কোচ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে পড়েন বিতর্কে। এরপর এক সাংবাদিকের হুমকির খবর জানিয়ে এসেছেন নতুন আলোচনায়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে জায়গা না পাওয়া ঋদ্ধিমান কদিন আগে এক সাংবাদিকের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি পেয়েছেন। সাক্ষাৎকার দিতে না চাইলে হুমকি দেন ওই সাংবাদিক। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে তার নাম প্রকাশ করতে বলেছিল সাবেক-বর্তমান হয়ে অনেকেই। কিন্তু নিজের নৈতিকতা থেকেই ওই সাংবাদিককে দ্বিতীয় আরেকটি সুযোগ দিবেন সাহা।
চলমান বিতর্কে এখনও ওই সাংবাদিক তার সঙ্গে যোগাযোগ ও ক্ষমা চাননি জানিয়ে সাহা বলেন, ‘নিজের নীতি-নৈতিকতার কারণেই ওই সাংবাদিকের পরিচয় প্রকাশ করতে চাই না। কাউকে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি। এটা দ্বিতীয় সুযোগ যা আপাতত তাকে দিতে চাই।’
ভারতের হয়ে ৪০ টেস্ট খেলা ঋদ্ধিমানকে সাউথ আফ্রিকা সফরের পর হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন, তার দল এগিয়ে যাবে। তিনি নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অনেকেই মনে করছিলেন, এখানেই বুঝি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। সবাইকে ভুল প্রমাণ করেছেন ঋদ্ধিমান।
খেলা চালিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে ডানহাতি ব্যাটার বলেন, ‘এই মুহূর্তে অবসরের কথা ভাবছি না। আইপিএল এবং অন্য সব ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি।’
দল থেকে বাদ পড়ায় আক্ষেপের কথা জানিয়ে ঋদ্ধিমান বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজে বাদ পড়ে হতবাক ও আহত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, আশা করেছিলাম দলে থাকব। তবে মনে হচ্ছে নির্বাচক কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
দল থেকে বাদ পড়ে কোচিং নিয়ে সমালোচনা করে যখন বিতর্কে সাহা তখনই ওই সাংবাদিক তাকে হুমকি দেন। পরে হোয়াটসঅ্যাপের ওই মেসেজগুলোর স্কিনশট নিয়ে টুইট করেন ঋদ্ধিমান। সেখানে জানান, ‘সম্মানিত’ এক সাংবাদিক তাকে যে বার্তা পাঠিয়েছেন, তাতে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে লেখা ছিল, ‘তুমি আমাকে কল করো নি। আমি তোমাকে আর ইন্টারভিউ করব না। আমি অপমান সহজভাবে নেই না। এটা আমি মনে রাখবো।’
এই টুইটের পর ঋদ্ধিমান সাহার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেক ক্রিকেটার। ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটারের পাশে ছিলেন রবি শাস্ত্রী, হরভজন সিং এবং বীরেন্দ্র শেবাগের মতো বেশ কয়েকজন সাবেক খেলোয়াড় এবং কোচ। এদিকে, ঋদ্ধিমানকে হুঁশিয়ারির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি দিয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।