‘‘যারা এমন করে মানুষ হত্যা করছে, সেই ড্রাইভারদের কি বিচার হবে না? সরকার এদের বিচার করবে না?’’
এমন নানা প্রশ্ন ঘুরছে আততায়ীর হাতে নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীর এক মাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘের মনে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ২৯ জুলাইয়ে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু দেখে এমনই নানা প্রশ্নে উত্তর খুঁজতে থাকে মেঘ।
ওইদিন দুই বাসের রেষারেষিতে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার পর থেকে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে সড়ক অবরোধ করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
তাই শিক্ষার্থীদের এই বিভোক্ষের সাথে নিজেকে একাত্ম করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মেঘ বৃহস্পতিবার সকালে পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়েছে মানিক মিয়া এভিনিউতে।
মেঘের সকল প্রশ্নের দাবি ফুটে ওঠেছে-
নিরাপদ সড়ক চাই
বাসচাপায় নিহত আপু-ভাইয়াদের খুনের বিচার চাই
ছোটদের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ চাই
আমার মিম্মি-বাবা (সাগর -রুনীর) খুনের বিচার চাই
we want justice
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনী। ওই সময় মেঘের বয়স ছিল ৬ বছর।
নির্মম ও আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। বছর ঘুরে ১১ ফেব্রুয়ারি আসার আগে ও পরে গণমাধ্যমে কিছু শিরোনাম হয় মামলার তদন্ত কার্যক্রম সর্ম্পকে, এরপরে আবার তা চাপা পড়ে যায়।
এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৬টি ধার্য তারিখ অতিবাহিত হয়েছে। সর্বশেষ ২১ মার্চ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সাগর-রুনী পরিবারের সদস্য-স্বজন বিষয়টি নিয়ে হতাশ। ধীরে ধীরে নিষ্ঠুর বাস্তবতার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন তারা।