প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বাবার বিশ্ববিদ্যালয়, আমারও বিশ্ববিদ্যালয়। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পর বিদেশে গেলাম। তখনই পরিবারের হত্যাকাণ্ড ঘটলো। দেশে ফিরতে পারলাম না ছয় বছর। এর আগে মাকে বলেছিলাম, এখন খুব ভালোভাবে পড়াশোনা করে মাস্টার্স ডিগ্রি নেবো। সেটা তো আর হলো না। যদিও পরে আমাকে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনারারি ডিগ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি নেওয়ার ইচ্ছেটা অধরাই থেকে গেলো।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ৭ মার্চ ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন: জাতির পিতার সময়ে যত আন্দোলন হয়েছে সেটার সূতিকাগার হিসেবে আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সব আন্দোলন সংগ্রাম এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু। বাংলা ভাষায় কথা বলা থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাত এই বিশ্ববিদ্যালয়েই।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন: শিক্ষার উন্নয়নের জন্য আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। শিক্ষা খাতে বাজেটে যে খরচ বরাদ্দ হয় সেটাকে আমরা ব্যয় বলি না, বলি বিনিয়োগ। যেটা দেশ গঠনে কাজে লাগবে। আমরা চাই শিক্ষক যেমন শিক্ষা দিবেন শিক্ষার্থীরাও যেন উপযুক্তভাবে শিক্ষা গ্রহণ করেন। প্রত্যেকেই শিক্ষার্থীকে নজর রাখতে হবে যেন এসব ভবনের পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে।
‘বাঙালিদের যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এছাড়া উশৃঙ্খলা কখনোই কাম্য নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। সময় শেষ। এরপরের প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় হয়ে উঠে সেটা মাথায় রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন: অনেক সময় দেশের বাইরে গেলে অনেক দেশের প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান আমাকে প্রশ্ন করে, তোমরা এত স্বল্প সময়ে এত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করলে কীভাবে? অন্যান্য দেশের সরকার তো পারে না। তোমাদের ম্যাজিকটা কী? আমি বলি, আমরা একটা আদর্শ নিয়ে কাজ করি। কী করলে মানুষ ভালো থাকবে, তাদের উন্নতি হবে আমরা তা ভেবে কাজ করি। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করি বলেই আজ দেশ এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।