অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নির্মমতাকে সমর্থন করে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত ঘৃণিত।
সু চির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু তাদের যে একটা অত্যাচারী মনোভাব এতদিন ধরে চলছে, আর যেখানে অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া অং সান সু চি একে সমর্থন করে যাচ্ছেন। অত্যন্ত ঘৃণিত তার এই পদক্ষেপ।’
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার হার বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন একাধিক মন্ত্রী। তাদেরকে বাংলাদেশের জন্য বোঝা মন্তব্য করে দ্রুত নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
তিনদিনের ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবস, কিন্তু সচিবালয়ে এখনো রয়েছে ঈদের আমেজ। মন্ত্রণালয়গুলোর অনেক চেয়ারই ফাঁকা। যারা যোগ দিয়েছেন তারাও শুভেচ্ছা বিনিময়েই সময় কাটিয়েছেন। শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মন্ত্রীরাও।
তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের পাশাপাশি মন্ত্রীরা কথা বলেছেন পাশের দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংরাদেশের সামর্থের বাইরে বোঝা হয়ে উঠেছে এই অতিরিক্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মতিয়া চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন, মিয়ানমার সরকার এই সহিংসতা ও নির্মমতা বন্ধ করবে এবং রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাবে। ‘কেননা তাদের দেশ মিয়ানমার। বাংলাদেশ তাদের দেশ না।’
মন্ত্রীরা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়েও প্রয়োজনীয় আলোচনা চলছে।