উস্কানিতে পা না দিয়ে নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, আমি সুস্থ আছি, আপনারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যান।
বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তার এই নিদের্শনার কথা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো বেগম খালেদা জিয়ার মনোবল অত্যন্ত উঁচু। খালেদা জিয়া সাহসিকতার সঙ্গে সব প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করছেন। কারারুদ্ধ অবস্থায় তিনি দেশের কথাই চিন্তা করছেন। সত্য প্রতিষ্ঠা হবে বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া গণমাধ্যমের সহযোগিতায় দেশবাসীকে আমাদের জানানোর জন্য বলেছেন, তার শরীর ভালো আছে, দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য তিনি যেকোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
সাক্ষাতের বিষয়ে ফখরুল জানান, বেগম খালেদা জিয়া কারা অন্তরীণ হওয়ার পর আমরা স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আবেদন করেছিলাম। তারা আমাদের স্থায়ী কমিটির আট সদস্যকে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছেন। সে আলোকে আমরা আজ(বুধবার) সোয়া তিনটায় কারাগারে প্রবেশ করি।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আমরা মনে করি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। সরকার বিভিন্ন কারচুপির মধ্য দিয়ে কারাবাসকে দীর্ঘ করার চেষ্টা করছে। তবে সবকিছু দূরীভূত হবে বলে বিশ্বাস করি। আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে যে সংগ্রাম চলছে, তা চলছে।
বেগম জিয়া কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন খালেদা জিয়া কারা অন্তরীণ হওয়ার পর থেকে আমরা যৌথ প্রচেষ্টায় আন্দোলন পরিচালনা করছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সবকিছু পরিচালনা করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী সুনির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছেন কারো উস্কানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন পরিচালনা করে যেতে।
বুধবার দুপুর ৩টায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ৭ সদস্য ও একান্ত সচিবের একটি দল।
এই দলে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
মঙ্গলবার বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে জেলখানায় দেখা করার অনুমতি পান বিএনপির সিনিয়র নেতারা।