বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল সামিটে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন। তারা মনে করেন, এই সম্পর্ক সব সময়েই সর্বোচ্চ গুরুত্ব বহন করে।
ভার্চুয়াল সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতে, উভয়দেশ বিদ্যমান সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, উভয় দেশ বিদ্যমান সহযোগিতামূলক ঐক্যমতের সুযোগ নিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে আরও সংহত করে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ভ্যালু-চেইন আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।’
সেসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, কোভিডের মতো বৈশ্বিক দুর্যোগে দুই দেশের পারস্পারিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। যা আগামীতেও থাকবে।
এই সামিটে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ, বঙ্গবন্ধু-মহাত্মাগান্ধী ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
এদিন ৫৫ বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ির মধ্যে রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়। ভার্চুয়াল সামিটে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করেন।
সামিটে দুই দেশের দুই জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু-মহাত্মাগান্ধী ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। ভারতের ডাকবিভাগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর সন্মানে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে দুই দেশের আত্মউৎস্বর্গকারী বীরদের স্মরণ করেন।
বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের অর্ধশত বর্ষপূতিতে স্বাধীনতার জন্য ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
এসময় আগামী বছরের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।