সুষ্ঠুভাবে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ভোটের সময় যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কথা শুনে রিটার্নিং অফিসাররা সেই নিশ্চয়তা চান। তৃণমূলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন বলেই অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি কর্তৃত্ব চান তারা।
তবে অবস্থা যাই হোক নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পুরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইসি।
চার মাস জুড়ে নির্বাচন হবে সারাদেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনের বাস্তবতাকে মাথায় রেখে প্রায় ২ হাজার রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ শুরু করেছে ইসি। কমিশনের থানা পর্যায়ের নিজস্ব কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। তারা মনে করছেন, যে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সবার আগে দরকার পুলিশ বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা।
একজন রিটানিং কর্মকর্তা বলেন, এটা আমার জন্য প্রথমবার। তাই আমাকে প্রথম থেকেই জানতে হবে সবকিছু কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চলছে প্রশিক্ষণ। ইউপি নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে এই নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অধীনে রাখার নির্দেশ ইসির। তবে কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বেও অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হবে তাকে।
নির্বাচন কমিশন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মহাপরিচালক খোন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচনটা যেন রিটানিং অফিসারের পক্ষ থেকে ভালোভাবে পরিচালনা করেন। নির্বাচনটা যেন তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পুরো নির্বাচনে ২ হাজার রিটার্নিং অফিসার ছাড়াও নির্বাচনী কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। প্রথম দফায় ৭ শ ৩৯টি ইউনিয়নের নির্বাচন হবে ২২ মার্চ।