কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ। রক্তচাপ ও ফুসফুসের সংক্রমণসহ একাধিক রোগে আক্রান্ত তিনি। দেশবরেণ্য এই সুরসম্রাটের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে গণভবনে ডেকে আলাউদ্দিন আলীর স্ত্রী ফারজানা মিমির হাতে চিকিৎসায় ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়ী পত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আলাউদ্দিন আলীর স্ত্রী ফারজানা মিমি রবিবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৫ লাখ টাকা সঞ্চয়ী পত্র হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলাউদ্দিন আলীর চিকিৎসায় দিয়েছেন। এখান থেকে প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা তার চিকিৎসায় ব্যয় হবে। এছাড়া আলাউদ্দিন আলীর চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট আন্তরিকতা প্রকাশ করেছেন। তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই।
ফারজানা মিমির কাছ থেকে জানা যায়, বর্তমানে আলাউদ্দিন আলী রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। যথাসাধ্য তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি হচ্ছে না। দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা তিনি পাচ্ছেন। তবু সবার কাছে তার পরিবারের একটাই অনুরোধ, সবাই যেন উনার জন্য দোয়া করেন।
আলাউদ্দিন আলী বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার। এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তার সুর করা গানের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি। এরমধ্যে কালজয়ী কিছু গান হচ্ছে ও আমার বাংলা মা তোর, সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ, বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে, প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়, আছেন আমার মুক্তার, আছেন আমার ব্যারিস্টার, জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়।
২০১৫ সালে জুন মাসে আলাউদ্দিন আলীর ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি কয়েক দফায় ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়েছেন। সর্বশেষ ২২ জানুয়ারি আলাউদ্দিন আলী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তখন জানা যায়, তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন।