নোয়াখালির সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের প্রতিবাদ ও দ্রুত ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে শাহবাগে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতার লক্ষ্যে কাজ করা সংগঠন ‘যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট’।
শুক্রবার বিকেলে ‘যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন: গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি এই ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার একটা অপপ্রয়াস পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই ধর্ষণ দলীয় বৃত্তে হয়েছে তাই ধর্ষকের দল নেই এই ধরণের বক্তব্য না দিয়ে বরং আওয়ামী লীগ স্বীকার করে নিয়ে এই ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
লেখক ও ব্লগার মারুফ রসূল বলেন: আইনের ফাঁক গলিয়ে ধর্ষকরা বেরিয়ে যায়, এই ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীদের ফলোআপ প্রতিবেদন করা উচিত। বিচারহীনতার ফলেই এই অপরাধগুলি সংঘটিত হচ্ছে।
সংগঠনের আহবায়ক শিবলী হাসান বলেন: দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বাংলাদেশে চালু হয়েছে তার সাক্ষী আজ সুবর্ণচরের ওই নারী। আমরা তার পরিবারকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতেই রাস্তায় নেমেছি।
যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোটের একটি তদন্ত টিম সুবর্ণচরে যাবে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন শিবলী।
অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উইমেন্স হিল ফেডারেশনের রুপসী চাকমা, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি মো সাজু, ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি সভাপতি সালমান সিদ্দিকি। এছাড়াও সংহতি প্রকাশ করে নারীপক্ষ, নিজেরা করিসহ প্রায় ২০টি সংগঠন।
গত রোববার রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাঙচুর করে।
এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে। পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
এখনও পর্যন্ত সুবর্ণচরে গণধর্ষণ মামলার মূল পরিকল্পনাকারী হাসান আলী ভুলুসহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।